[email protected] ঢাকা | মঙ্গলবার, ৫ই আগস্ট ২০২৫, ২১শে শ্রাবণ ১৪৩২
thecitybank.com

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেকারত্ব দূরীকরণে ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখছে ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড

উপজেলা সংবাদদাতা:

প্রকাশিত:
১৯ জুলাই ২০২৫, ১৮:১২

ছবি: সংগ্রহীতচাঁপাইনবাবগঞ্জে বেকারত্ব দূরীকরণে ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখছে ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্যে দেশের ৮টি বিভাগের ৪৮ টি জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

গত শনিবার এ প্রকল্পের আওতাধীন "ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড" চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্রাঞ্চের ২য় ব্যাচের প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা মেজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ। এবং সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র ব্রাঞ্চের কো-অর্ডিনেটর এস এম আব্দুল্লাহ এবং ট্রেইনার সহ সকল বিদায়ী প্রশিক্ষনার্থী বৃন্দ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, "প্রশিক্ষনার্থীরা কোর্স চলাকালীন সময়ে ইনকাম করতে পারছে জেনে অনেক খুশি হয়েছি। এই রকম প্রজেক্ট যাতে আরো বেশি বাস্তবায়ন করা যাই সেই বিষয়ে আমি যথাযথ চেষ্টা করব এবং ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানায় সুন্দর ভাবে এই প্রশিক্ষন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য।"

এ সময় অনুষ্ঠানে সভাপতি উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান তার বক্তব্যে বলেন, "প্রশিক্ষণের সার্বিক ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। আমি চেষ্টা করব এই ভালো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে আরো অ্যাডভান্স লেভেলে কিছু করা যায় কিনা।"

এ সময় রাজু আলি নামে এক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী জানাই, "সম্প্রতি আমি ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড-এর দ্বিতীয় ব্যাচে ভর্তি হয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সম্পন্ন করি। কোর্স শেষ করার পর আমি আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস 'আপওয়ার্ক' -এ কাজ শুরু করি এবং এখন পর্যন্ত ৪০০ ডলার আয় করতে সক্ষম হয়েছি। এই অর্জন আমার জন্য একদিকে যেমন গর্বের, অন্যদিকে তেমনি আমার জন্য অনুপ্রেরণাও। আমি বিশ্বাস করি, সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিশ্রম থাকলে দেশের তরুণরাও ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। আমি ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড এবং আমার প্রশিক্ষক এমডি জেমস মোঃ জাকির ও রাসেল স্যার-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের সহযোগিতা ও গাইডলাইন ছাড়া এ অর্জন সম্ভব হতো না। আমার এই ক্ষুদ্র সাফল্য ভবিষ্যতের আরও বড় স্বপ্ন পূরণের পথে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ। আমি চাই দেশের আরও অনেক তরুণ যেন এমন প্রশিক্ষণ নিয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে।"

এ সময় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ঈশিতা নামের এক নারী বলেন, "ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডে ৩ মাসের ট্রেনিং করে আলহামদুলিল্লাহ ৩০,০০০ টাকার বেশি আয় করেছি এবং আমি এখন একটা রিমোট জব করি। স্যারেরা খুবই দক্ষভাবে শিখিয়েছেন। সবকিছুই আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো ছিল।"
এ সময় ফরহাদ রেজা নামে আরও এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমি সুনামধন্য আইটি কোম্পানি ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড-এর মাধ্যমে তিন মাস মেয়াদি একটি কোর্স সম্পন্ন করেছি। এই কোর্সের মাধ্যমে আমি শুধু স্কিলই শিখিনি বরং প্র্যাকটিক্যাল গাইডলাইনের মাধ্যমে নিজেকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রস্তুত করেছি। আমাদের ট্রেইনাররা ছিলেন অত্যন্ত বন্ধুসুলভ এবং দক্ষ। তাদের নির্দেশনায় আমি ধাপে ধাপে শিখেছি কিভাবে অনলাইনে কাজ করতে হয়,
কোর্স চলাকালীন আমি ফ্রিল্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকে ৩২০ ডলার আয় করেছি! এটা আমার জন্য বিশাল অর্জন।"

অত্র প্রতিষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর এস এম আব্দুল্লাহ বলেন, "আমাদের কাছে যখন কোন প্রশিক্ষনার্থী আসে তখন তারা একটা স্বপ্ন নিয়ে আসে। আমরা তাদের সেই স্বপ্নটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে যায়।যার জন্য আমরা আমাদেন প্রশিক্ষনের কোয়ালিটির সাথে কখনোই কম্প্রমাইজ করি না।"


রাব্বি হোসেন /ই.ই


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর