[email protected] ঢাকা | রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫, ১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২
thecitybank.com

রাজশাহীতে দিনভর বৃষ্টিতে ভোগান্তি

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪২

ছবি: সংগ্রহীত

দিনভর বৃষ্টিতে বিপাকে মানুষ। রিকশার মধ্যে পলিথিন মুড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন দুজন যাত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী রেলস্টেশনের সামনে

রাজশাহীতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি ঝরছে। বেলা দুইটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিল। কখনো মুষলধারে, কখনো ইলশেগুঁড়ি হয়ে ঝরছে। গতকাল সোমবার রাতেও বৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। মৌসুমি লঘুচাপের কারণে এই বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

রাজশাহী আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে এবার আষাঢ়ে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েছে। তবে শেষ আষাঢ়ের দিনে সবচেয়ে বেশি ৯১ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়। শ্রাবণেও সেই বৃষ্টি অব্যাহত আছে। তবে সেই বৃষ্টি কিছুক্ষণ হয়ে থেমে যেত। গতকাল রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ধারাবাহিকভাবে ঝরছে। কখনো মুষলধারে, কখনো ইলশেগুঁড়ি হয়ে। গতকাল রাত থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। সকাল ছয়টার পর থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার।

রাজশাহী আবহাওয়া কার্যালয়ের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, গতকাল রাত থেকে যে বৃষ্টি হচ্ছে, এটা মৌসুমি লঘুচাপের কারণে। এই লঘুচাপ কেটে না যাওয়া পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির পরিমাণ কখনো কম, কখনো বেশি।

এদিকে দিনভর বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। শিক্ষার্থীদের অনেককে ভিজে ভিজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দেখা গেছে। নগরের দরগাপাড়া এলাকায় বৃষ্টিতে দৌড়ে এসে একটি ভবনের নিচে দাঁড়ান রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, কলেজের পাশেই তাঁর মেস। ভেবেছিলেন বৃষ্টি কম। কিন্তু বাইরে বের হতেই বৃষ্টি বেড়ে গেছে। এখানে দাঁড়িয়ে আবার দৌড় দিয়ে কলেজে চলে যাবেন।

নগরের নিউমার্কেট এলাকায় এক যাত্রী ও রিকশাচালকের মধ্যে কথা-কাটাকাটি করতে দেখা গেল। কাছে গিয়ে জানা গেল, ভাড়া বেশি নিয়ে। বৃষ্টিতে ভাড়া বেড়ে গেছে। ওই যাত্রী জানালেন, ভাড়া ২০ টাকার জায়গায় ৩০ টাকা দাবি করছেন। জবাবে রিকশাচালক বলছেন, ‘এই বৃষ্টিতে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে এনেছি। উনি ভেজেননি। খুব বেশি টাকা চাইছি না।’

অব্যাহত বৃষ্টিতে অনেকের সমস্যা হলেও পাটচাষিদের জন্য ভালো হয়েছে। তাঁরা পাট কেটে সহজেই পানিতে জাগ দিতে পারছেন। পবার মদনহাটি গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে বলে এবার পাট জাগ দেওয়ার পানির অভাব হবে না। গতবার তেমন বৃষ্টি হয়নি।

ডেস্ক/ই.ই


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর