চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আলোচিত অপারেশন ঈগল হান্ট মামলার ৩ আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে দুই দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামীরা হল-শিবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ও যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ।
এরআগে ৩০ জুলাই আদালতে আদালতে আত্মসমার্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান।
মামলা সূত্রে জানাগেছে,২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল। বুধবার গভীর রাত। শিবনগর গ্রামে হঠাৎ শত শত পুলিশ। প্রত্যন্ত গ্রামে অচেনা সাঁজোয়া যান, জলকামান, প্রজেক্টাইল, কাইনেটিভ আরও কতো কী।
ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশের একাধিক বিশেষ বাহিনী। রাত তখন ১২টা বেজে ২৫ মিনিট। মাত্র ১০ মিনিটে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। আশপাশের রাস্তাঘাট সিলগালা করা হয়। মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
তখনো দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবুর পরিবার কিছু বুঝতে পারেনি। এর আগে থেকে পুলিশের সহায়তায় আসামীদের বিরুদ্ধে গুম ও খুন করার অভিযোগ উঠে দুই ভাইকে।
২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট মিজানুর রহমানকে নিজ বাড়ি থেকে এবং একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাজশাহীর সাহেববাজারের এসএস প্লাজার ছাত্রাবাস থেকে রাত ১০টার দিকে ছাত্রনেতা রেজাউল করিমকে গুম করা হয়। এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে বাদী আইনাল হক শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন
ছাত্র নেতা রেজাউল করিম ও নিখোঁজ রেজাউল করিমের বাবা, বাবা আইনাল হক বলেন , অপহরণ গুম ও খুনি অপরাধী মামলার আসামি, আব্দুস সালাম, আবুল কালাম আজাদ, ইশতিয়াক আহমেদসহ সকল আসামিদের ফাঁসি চাই। এই বিচারের রায় দেখে যেন অপহরণ গুম ও খুনের শিকার হতে না হয়।
তা.র/ ই.ই
মন্তব্য করুন: