ছাত্র-জনতার বিজয়ের ঐতিহাসিক দিন ৫ আগস্ট আজ ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। এক বছর আগে, ২০২৪ সালের এই দিনটিতে উত্তাল আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান আর জাতীয় ঐক্যের মুখে গুড়িয়ে যায় শেখ হাসিনার দীর্ঘ দেড় দশকের স্বৈরশাসন। জন্ম নেয় এক নতুন বাংলাদেশ-যেখানে জনগণের ইচ্ছাই প্রধান এবং রাষ্ট্রচিন্তায় নতুন প্রাণ ও তারুণ্যের সঞ্চার ঘটে।
নতুন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম যে অর্জনটি দৃশ্যমান, তা হলো গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। দমন-পীড়ন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিরোধী কণ্ঠ রোধ-এসব কিছুই এখন কালো ইতিহাস।
নতুন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী ঐকমত্যের সরকার গঠন করা হয়, যার মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগের সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই এক বছরে সবচেয়ে বড় বিজয় তা হলো-ভয়হীনভাবে কথা বলা, সমালোচনার এবং সংগঠনের স্বাধীনতা ফিরে আসা।
স্বৈরশাসনের পতনের পরপরই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। ব্যাংক খাত, সরকারি ক্রয়, এবং শেয়ারবাজারে জবাবদিহি বাড়ানো হয়। দেশে নতুন করে গৃহীত হয় ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পদ বণ্টন নীতি।
বিশেষ করে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে, প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) প্রবাহ বেড়েছে এবং দেশি শিল্পে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল অর্থনৈতিক ন্যায্যতা এবং এই সরকার অন্তত সেই আলোচনাটিকে মূলধারায় নিয়ে এসেছে।
অর্থনৈতিক অর্জন বিবেচনায় নিলে দেখা যায় দেশ এখন মন্দা থেকে মুক্তির পথে এগচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি ও বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও নতুন সরকার দক্ষতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ধরে রেখেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৩২ শতাংশের বেশি, দুর্নীতি কমাতে ডিজিটাল একাউন্টিবিলিটি প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে, রপ্তানি আয় বেড়েছে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও কৃষিপণ্য খাতে।
নতুন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃনির্মাণে সচেষ্ট হলেও একতরফা সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সক্রিয়তা বেড়েছে।
নতুন বাংলাদেশ বন্ধুত্বে বিশ্বাসী, নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে নয়। পররাষ্ট্রনীতির মূল ধারায় ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে জোরালো অবস্থান, নদী ও সীমান্ত বিরোধে ভারতের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে সমন্বিত অংশগ্রহণ, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা সুদৃঢ় করা। বাংলাদেশ এখন আর কোন দেশের ‘ছায়াসঙ্গী’ নয়, নতুন বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক স্বাধীন কূটনীতিক কণ্ঠস্বর।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে বিপর্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থা নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বোর্ড পরীক্ষার সংখ্যা কমানো, পাঠ্যবই পুনঃমূল্যায়ণ, ইতিহাস বিকৃতি ঠেকানো এবং দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জাগরণ উঠেছে, আমরা এখন এমন এক শিক্ষা চাই যা শুধু চাকরিজীবী নয়, মননশীলতা গড়ে তুলবে।
গুরুত্বপূর্ণ যেসব প্রাপ্তি যা মানুষ বহুদিন ধরে বঞ্চিত ছিল যেমন ভয়মুক্ত মতপ্রকাশের অধিকার, নির্বাচনের প্রতি আস্থা, স্বাধীন গণমাধ্যম, সুশাসনের অভাব, নারী ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা। জনগণের প্রত্যাশা এখনও বাধাহীন হয়নি, ন্যায় বিচার প্রাপ্তির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখনও পুরোনো মামলার জট, রাষ্ট্রযন্ত্রের সংস্কারে ধীরগতি, প্রশাসনে সাবেক আমলাদের রক্ষণশীল প্রতিরোধ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু স্থানে ‘রাজনৈতিক আপস’ চোখে পড়ছে। তরুণ আন্দোলনকারীরা আশাবাদী সেই দিনের জন্য যখন প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে।
নতুন চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় মতবিরোধ কমিয়ে আনা। সাবেক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া, বেসরকারি অর্থায়ন নির্ভর উন্নয়নে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, রাজনৈতিক বিভাজন এবং দলীয় প্রতিহিংসা ঠেকানো, তরুণদের কর্মসংস্থানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া আর জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি বাড়ানো।
নতুন বাংলাদেশের প্রথম বছরটি কেটেছে সংগ্রাম, অগ্রগতি এবং চ্যালেঞ্জের এক অনন্য সংমিশ্রণে। সবকিছুর পরেও এ দেশের মানুষ আজ আশা নিয়ে স্বপ্ন দেখে-একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার যেখানে জনগণই হবে মূল চালিকাশক্তি।
মঙ্গলবার ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি পাঠ করেন, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব শহিদকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে ঘোষণা করে শহিদ পরিবার, আহত এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইনি সুরক্ষা দেয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।
এতে যোগ দিয়েছেন সব রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ। বিকেলে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের মতে, আমরা একটি টেকসই, মানবিক ও জনগণের বাংলাদেশ গড়ার পথে হাঁটছি। পথ অনেক দীর্ঘ, কিন্তু আমরা থেমে যাবো না।
এ প্রসঙ্গে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, ‘১৫-১৬ বছর ধরে দেশে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান সর্বময় কর্তৃত্বশালী ছিল- সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অন্য প্রতিষ্ঠান-সংস্থাগুলো মূলত অকার্যকর ছিল। সেই সময় সবচেয়ে ঝুঁকিতে ছিল দেশের অর্থনীতি। প্রবৃদ্ধি ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হতো, মেগাপ্রকল্পের নামে ব্যাপক লুটপাট অব্যাহত ছিল। ব্যাংক খাত রীতিমতো ‘ধ্বংস’ হয়ে গেছে। এত ব্যাংক লুটের ঘটনা বিশ্বের কোথাও হয়নি। এসময় হাজার মানুষের আত্মদান, আত্মোৎসর্গের কারণে দেশবাসীর মুক্তি মেলেছে। আমরা নতুন বাংলাদেশের প্রথম বছরটি পার করছি। এখনই প্রাপ্তি উল্লেখযোগ্যভাবে আমাদের হাতে আসেনি। তবে সফলতার পথে বেশ অনেকগুলো ইতিবাচক পরিবেশ (পজিটিভ সিম্টম) আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও বাজারে দৌরাত্ম্য এবং নৈরাজ্য মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। কোন পণ্যের দাম মুনাফাভোগী চক্রের কব্জায় চলে যায়নি। দেশের প্রতি আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। তারা বেশি বেশি রেমিটেন্স (প্রবাসী আয়) দেশে পাঠাচ্ছেন। বিশাল অঙ্কের অর্থপাচারের মতো ঘটনাগুলো তখন অনেকটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছিল। এখন এসব শোনা যাচ্ছে না।
শিক্ষাখাতে প্রথম সফলতা হিসেবে ধরা যেতে পারে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের খাতার যথাযথ এবং মানসম্পন্ন মূল্যায়ণ। আগে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হতো। চলতি বছর এসএসসির যে রেজাল্ট (ফলাফল) এসেছে এর সঙ্গে ১৫-১৬ বছর আগের পাবলিক পরীক্ষার উত্তীর্ণ এবং অকৃতকার্যের হারের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রয়েছে। দেড় দশক ধরে সেই ফলাফলকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘ইউজিসি এখন অবকাঠামো নির্মাণে কম গুরুত্ব দিচ্ছে। যত্রতত্র কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা যাবে না। এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে গবেষণা এবং একাডেমিক কাজে (শিক্ষা কার্যক্রম)। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্তা আনা হচ্ছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কোড অব কন্ডাক্ট (আচরণবিধি) চালু করা হচ্ছে।
নতুন বাংলাদেশ এবং এর নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি এবং সৌহার্দপূর্ণ আচরণ একটি বড় অর্জন। নতুন বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের ইতিবাচক প্রতিবেদন এদের মধ্যে অন্যতম। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ থেকে নামিয়ে ২০ শতাংশে নিয়ে আনা একটি বড় সফলতা। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে আমরা এগিয়ে থাকবো।
যারা দেশকে নেতৃত্ব দিতে যোগ্য তারাই দায়িত্ব পাচ্ছেন। এতে করে অনুগতদের নেতৃত্বের চেয়ে দেশে সুষ্ঠু নেতৃত্বের নতুন ধারা তৈরি হচ্ছে। জনগণই যে দেশের সবচেয়ে বড় কর্তৃত্বশালী তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
এদিকে দেশে নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হচ্ছে। যে জাতীয় ঐক্যের শক্তিতে স্বৈরাচারী সরকারের উৎখাত করা হয়েছিল সেই রাজনৈতিক ঐক্যে যেন বিভাজন শুরু হয়েছে ৫ আগস্টের পর দিন থেকেই। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন বলেন, এটি শুরু হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্বকে ঘিরে। মহান মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্বকে ১৯৭২ সালের শুরু থেকে যেভাবে একদলীয় করার নির্লজ্জ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ঠিক তেমনি একটি বিভাজন তৈরির প্রক্রিয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনে ধর্ম-বর্ণ-বয়স নির্বিশেষে সব বিভাজনকে উপড়ে ফেলে যে জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছিল এই বাংলাদেশে তাতে কোন রাজনৈতিক স্বার্থে ফাঁটল ধরতে দেয়া যাবে না।’
দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী চ্যানেল 24 কে বলেন, ‘যে চেতনাবোধ থেকে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, সেখানে আমরা দাঁড়িয়ে নেই। আমরা অনেক দূরে চলে গেছি। কারণ, মূল চেতনার সঙ্গে আমরা সম্মিলিতভাবে দূরে থেকেছি। আমরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছি।’
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতি অশান্ত থাকার নজির আছে ইতিহাসে। সেই সঙ্গে আছে এদেশে প্রতিহিংসাপরায়ন রাজনীতির সংস্কৃতিও। তবে, তারা মনে করেন নেতৃত্বে দ্বন্দ্ব-বিভেদ থাকলেও গণমানুষের অধিকারের মঞ্চ জুলাইয়ের জাতীয় ঐক্যকে ধারণ করবে যুগে যুগে।’
সাংবাদিক আশরাফ কায়সার বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু চাই এবং আগামীকাল সকালের মধ্যে চাই। এভাবে তো হয় না। শাসনতন্ত্র ভারসাম্য নিয়ে সংলাপ হয়েছে। এভাবে ধারাবাহিকভাবে হাঁটতে থাকলে একদিন গঠনমূলক গণতান্ত্রিক পথে ফেরত যেতে পারবো।’
অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন আরও বলেন, ‘আপামর জনগণকে অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত ঐক্য দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ছাড় দিতে হবে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে। আমরা সবাই বাংলাদেশপন্থি এবং এখানে আপামর জনগণের প্রাপ্তি এবং স্বার্থ কোন ভাবেই দলীয় স্বার্থে বিনষ্ট হতে দেয়া যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিহিংসা নয় সুষ্ঠু ধারার প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং প্রতিযোগিতা থাকতে হবে। হাজার মানুষের আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত এই বিরল স্বাধীনতা এবং জাতীয় ঐক্য সবসময় অটুট রাখতে হবে।’
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: