প্রকাশিত:
২৮ জুলাই ২০২৫, ২১:০০
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলোচিত শিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিন হত্যা মামলায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রুহুল আমিন ও জেলা স্বাচিপের আহবায়ক ডা. গোলাম রাব্বানীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। এছাড়া তারা দুইজনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের পিপি আব্দুল ওদুদ।
সোমবার (২৮ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন শুনানী শেষে জামিন না মঞ্জুরের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মালখানা লুটপাটের মামলায় আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা। পরে আজকে দুপুর একটার দিকে কড়া নিরাপত্তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলোচিত শিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিন হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ও ডা. গোলাম রাব্বানীকে। পরে আদালতে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে জামিন না মঞ্জুরের আদেশ দেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (পি.পি) আব্দুল ওদুদ বলেন, ২০১৫ সালে সংঘটিত শিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিন হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পান রুহুল আমিন ও গোলাম রাব্বানী। পরে আজকে নিন্ম আদালতে জামিন নিতে আসলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপরদিকে, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও দায়রা আদালত ভবন-১ এর সামনে শিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিন হত্যার মামলার আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধনের আয়োজন করে শিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিনের পরিবার, আত্নীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা। পরে সেখানে দোষীদের সর্ব্বোচ শাস্তি দাবী করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ছাত্রশিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিনকে বাসা থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় র্যাব সদস্যরা। পরে সড়ক দুর্ঘটনার তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে র্যাব। ঘটনার ৯ বছর পর ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন আসাদুল্লাহ তুহিনের মামা মো. কবিরুল ইসলাম। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাবের সাবেক ডিজি, সাবেক সংসদ সদস্য, র্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের নেতাসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় যথাক্রমে ২ ও ৩ নম্বর আসামি গোলাম রাব্বানী ফটিক ও রহুল আমিন।
এম.এ.এ/আ.আ
মন্তব্য করুন: