প্রকাশিত:
১৫ জুলাই ২০২৫, ১৮:১৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, তত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংশোধনীটা শক্তিশালী অবস্থা করতে চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে হাত না দিতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায়ও যদি কেউ পরিবর্তন আনতে চায় সেটাও গণভোটের মধ্যে মাধ্যমে করার প্রস্তাব দিয়েছি।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ১৪ তম দিনের আলোচনা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আজকের আলোচনা হয়েছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে। উচ্চকক্ষে এবং নিম্নকক্ষে কীভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকার কারণে ঐক্যমত্যে পৌঁছায়নি। তবে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টির ক্ষেত্রে মোটামুটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত, কিন্তু তার গঠন প্রক্রিয়া কি হবে এ বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ৩১ দফার ভিত্তিতে আইডিয়া নিয়ে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টি জন্য প্রস্তাব করেছিলাম। দেশের বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজন, যাদের জাতি গঠনে অবদান আছে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আছে, যাদের মেধা-প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতা কন্ট্রিবিউশন ন্যাশন বিল্ডিং অক্টিভিটিসে প্রতিফলিত হয় এবং জাতি সমৃদ্ধ হয়। সেই আইডিয়া থেকেই ১০০ আসন উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের প্রস্তাব করেছি।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রস্তাব হচ্ছে- দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট রিপ্রেজেন্ট করবে বিদ্যমান সংবিধানে নারী সংরক্ষিত নারী আসন যেভাবে হয়, আসনের অনুপাতে সেই হিসাবে। তবে বিষয়টা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে। কেউ চান পিআর পদ্ধতিতে মানে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে, এখানে আবার পাওয়ার ফাংশনের বিষয়ে আছে। সাধারণ বিল কীভাবে পাস হবে, কনস্টিটিউশন এমেন্ডমেন্ট হলে আপার হাউজে কীভাবে পাস হবে, ইত্যাদি তো ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতে ঐক্যমতে আসা যায়নি ।
এখন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন অনেক দল তুলেছে বলে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের যে আর্থিক সক্ষমতা, সেখানে আরেকটি পার্লামেন্ট সৃষ্টি করা এবং সেই পার্লামেন্ট যদি আসলে নিম্নপক্ষের রিপাবলিক হয়। তাহলে সেটার প্রয়োজন আছে কিনা সে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। কারণ, এটাও একটা আলাদা পার্লামেন্টের মতো ব্যয়বহুল হবে। সেই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করে ঐক্যমত কমিশন সবার মতামত নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত দেবে আগামী রোববার। সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর আমরা প্রতিক্রিয়া বা আমাদের সম্মতি বা অসম্মতি সেটা জানাতে পারব।
সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: