[email protected] ঢাকা | রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫, ১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২
thecitybank.com

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর পচা ডিম নিক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
২৩ জুলাই ২০২৫, ২০:২৫

ছবি: সংগ্রহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন এবং সহ-সভাপতি ও জেলা স্বাচিপের আহবায়ক ডা. গোলাম রাব্বানীর উপর পচা ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালত চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।

আদালত চত্বরে সরজমিনে গিয়ে দেখা ও জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলোচিত শিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিন হত্যা মামলার ২ ও ৩ নং আসামী ডা. গোলাম রাব্বানী ও রুহুল আমিন উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন।

পরে আজকে বেলা ১১ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদলতে আত্নসর্ম্পন করতে আসেন তারা। এই দুই আওয়ামী লীগ নেতার আসার খবরে সকাল থেকেই আদালত চত্বরে জড়ো হতে থাকেন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা এবং আদালত চত্বরে তাদের বিচার দাবী করে মুহু মুহু স্লোগান দিতে থাকেন তারা। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: মিজানুর রহমানের আদালতে আসামিরা জামিনের আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আগামী ২৮ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেন।

আসামীদের রিমান্ড না দিয়ে পরবর্তীতে দিন ধার্য করায় আদালত চত্বরে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং আবারো মুহু মুহু স্লোগান দিতে থাকেন। তবে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন পুলিশ। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তাদেরকে আদালতের এজলাস থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। এই সময় উত্তেজিত জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা ডা. গোলাম রাব্বানী ও রুহুল আমিনকে উদ্দেশ্য করে পচা ডিম ছুড়ে মারে। পরে পুলিশ দ্রুত গাড়িতে করে থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল ওদুদ বলেন, উভয় পক্ষের শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত মামলার পরবর্তী শুনানীর জন্য আগামী ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ছাত্রশিবির নেতা আসাদুল্লাহ তুহিনকে বাসা থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে যান র‍্যাব সদস্যরা। এরপর সড়ক দুর্ঘটনার তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে র‍্যাব। ঘটনার ৯ বছর পর গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন আসাদুল্লাহ তুহিনের মামা মো. কবিরুল ইসলাম। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র‍্যাবের সাবেক ডিজি, সাবেক সংসদ সদস্য, র‍্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের নেতাসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এম.এ.এ/ই.ই


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর