৩৬ জুলাই ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র্যারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জুলাই জাগরণ, নব উদ্যমে বিনির্মাণ” শীর্ষক এই র্যালিটি আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পৌরসভা পার্ক থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন শেষে শান্তিমোড়ে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে এবং শহর সেক্রেটারী ইউসুফ আল গালিবের সঞ্চালনায় উক্ত বিজয় র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও রাজশাহী অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আমীর হাফেজ গোলাম রাব্বানী, ছাত্রশিবিরের সাবেক শহর সভাপতি এডভোকেট গোলাম মোস্তফা তোহরুল ইসলাম সোহেল, মোঃ এনায়েতুল্লাহ এবং জেলা পশ্চিমের সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা।
আরোও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পূর্ব শাখার সভাপতি সালাউদ্দিন সোহাগ, জেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি মামুনুর রশিদ, জেলা পূর্বের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ এবং জেলা পশ্চিমের সেক্রেটারি শহিদুল্লাহসহ ছাত্রশিবিরের তিন শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, “গত বছরের এই দিনে আমরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে হটাতে সক্ষম হয়েছিলাম। এই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল বৈষম্য, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি মুক্ত একটি বাংলাদেশ গঠন করা। কিন্তু এক বছর পরেও আমরা দেখছি, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়নি। বরং ‘জুলাই যোদ্ধার’ মেয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে কর্মী নিহত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “যারা জীবন দিয়ে এই দেশের ফ্যাসিবাদ মুক্তির পথ সুগম করেছিলেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। এখনো অনেকেই খুনি হাসিনাকে খুনি বলতে দ্বিধা করে। সরকারের বিভিন্ন পদে এখনো আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন রয়েছে।”
আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া আরও বলেন, “আসাদুল্লাহ তুহিন হত্যার বিচার আজও হয়নি। বিচারকের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এ বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই—আপনারা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করেন, তাহলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”
তিনি উল্লেখ করেন, “জুলাই সনদ কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি নয়। এটি জাতির ঐতিহাসিক দলিল। এই সনদে সকল স্তরের ‘জুলাই ভূমিকা’ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
সভা শেষে তিনি "সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ" গড়ার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
রাব্বি হোসেন/ই.ই
মন্তব্য করুন: