প্রকাশিত:
১৩ আগষ্ট ২০২৫, ১৩:২১
১০ বছরেও অনার্স শেষ করতে পারেননি বামপন্থী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংসদের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মেঘমল্লার বসু। এ নিয়ে ফেসবুকে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেইলের কাছে মুখ খুলেছেন মেঘমল্লার বসু। তিনি জানিয়েছেন, ঠিক কী কারণে এক দশকেও সম্পন্ন হয়নি তার অনার্সের কোর্স।
মেঘমল্লার বসু ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘পরপর তিনটি রিঅ্যাড (পুনরায় অ্যাডমিশন) নেওয়ার কারণে অনার্স শেষ করতে আমার সাত বছর লেগেছে। আমার অষ্টম সেমিস্টার শেষ হয় ২০২২ সালে। কিন্তু সে সেমিস্টারে মানোন্নয়নের জন্য আমার তিনটি পরীক্ষা ক্লিয়ার হয়নি। সে কারণে এখন ভোটার তালিকায় আমার নাম এসেছে।’
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সোমবার (১১ আগস্ট) প্রকাশ করা হয়। সে তালিকায় মেঘমল্লার বসুর নামও দেখতে পান শিক্ষার্থীরা।
ব্যস, এরপরই শুরু হয় হাস্যরস এবং নানা আলোচনা-সমালোচনা। ১০ বছরেও কেন মেঘমল্লার বসু অনার্স শেষ করতে পারেননি, শিক্ষার্থীদের মনে ওঠে সেই প্রশ্ন।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ঢাবিশিস) সাব্বির সিফাত নামে এক শিক্ষার্থী ব্যাঙ্গাত্মকভাবে লেখেন, ‘আমার অনার্স-মাস্টার্স চার বছর আগে শেষ। কিন্তু আমার স্কুল-কলেজ ও ভার্সিটির সহপাঠী (মেঘমল্লার বসু) এখনো অনার্সই শেষ করতে পারেনি। হায় ডাকসু! হায় ছাত্ররাজনীতি! এভাবে ফেল্টু আর বৃদ্ধদের দিয়ে ছাত্ররাজনীতির সোজাসাপ্টা উদ্দেশ্য হলো শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট করা।’
সিদ্দিক আলী নামে এক শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘এই বাজে নিয়মের কারণে এরা বছরের পর বছর পড়ালেখা না করে ক্যাম্পাসে থেকে যায়, এই অনিয়ম পরিবর্তন করা জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পড়ালেখা শেষ করতে না পারলে তাকে আর ছাত্র হিসেবে ধরা উচিত না।’
ইসা বিন করিম নামে আরেক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘বসু আসলে তার ক্লাসে স্থায়ীভাবে বসে গেছে।’
এছাড়া অনেকেই মজা করে বলছেন, ‘মেঘমল্লার বসু অনার্স দশম বর্ষের শিক্ষার্থী।’ কারও কারও আবার মন্তব্য, ঢাবিতে নিজের রাজনীতি হাতছাড়া না করার জন্য বসু ইচ্ছা করে অনার্স সম্পন্ন করছেন না।
ডেস্ক/আ.আ
মন্তব্য করুন: